বন্যায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন মানবিক ডাক্তারের মৃত্যু

বন্যায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট  হয়ে একজন মানবিক ডাক্তারের মৃত্যু
ছবি: মোঃ আবদুল্লাহ

দৈনিক বিজয় নিউজ কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

বন্যা কবলিত এলাকা কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বুড়িচং সদর ইউনিয়নের আরাগ আনন্দপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া প্রতাব বাড়ির মৃত সেরাজুল হক সাহেবের ছোট ছেলে তফাজ্জল হোসেন কেলু মেম্বারের ছোট ভাই ডা: আলমগীর হোসেন নিজ বাড়িতে আইপিএস সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেন । মৃত্যুকালীন ওনার বয়স ৬২ বছর । একজন নিবেদিত,মানবিক পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু তে অত্র এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে । ডা: আলমগীর বুড়িচং সদর হাসপাতালের একজন সিনিয়র নার্স হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। ওনার জানাজার নামাজ বিকেল ৫.০০ টায় আরাগ আনন্দপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়।

গত ২১ আগস্ট এ কুমিল্লায় বয়ে যাওয়া ভয়াবহ বন্যায় অন্যান্য এলাকার মত প্লাবিত হয় আরাগ আনন্দপুর গ্রাম। ডা: আলমগীর হোসেন সাহেব বন্যা কবলিত সময়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শহরে পাঠিয়ে ডাকাতি উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় নিজে ঘরের মালামাল সুরক্ষিত রাখার জন্য ঘরে অবস্থান করে আসছিল । আজ ৩০ আগস্ট ঘরে বিদ্যুৎ চলে আসায় ওনি ওনার ঘরের আইপিএস চালু করার জন্য চেষ্টা করতে থাকেন তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান ।


ওনি সাথে সাথে ডাক দিতে থাকেন পাশের ঘরে থাকা ওনার দুই ভাতিজা আমানুল্লাহ ও বিল্লাল হোসেন কে। ওনার ডাকে সাড়া দিয়ে দ্রুত চলে আসেন। এসে দেখেন এই পরিস্থিতি । দ্রুত ভ্যানযোগে প্রথমে বুড়িচং সদর হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তার-নার্স সম্মিলিত ভাবে চেষ্টা করতে থাকেন অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কুমিল্লা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় । সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন ।

ডা: আলমগীর হোসেন মৃতকালে ওনার স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন । আরাগ আনন্দপুর গ্রামের প্রথিতযশা পরিবারের মধ্যে ওনাদের পরিবার অন্যতম । ওনার মৃত্যু নিয়ে শোকাহত ওনার পরিবারের সদস্য রা ওনার পরিবারের অন্যতম সদস্য ওনার বড় ভাইয়ের ছেলে বিশিষ্ট সংগঠক ও খেওড়া আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান বলেন,"আমার চাচা ছিলেন এই এলাকার মানবতার প্রতিক, অত্র এলাকার এমন কোনো মানুষ নেই ওনার সেবা গ্রহণ করেন নি । আমার বাবা মরহুম ডা: আবুল হাসেম, আমার চাচাদ্বয় মরহুম ডা: ময়নাল হোসেন, মরহুম ডা: মোয়াজ্জেম হোসেন ওনারাও এলাকায় চিকিৎসা সেবায় নিজেদের বিলিয়ে দিয়ে গেছেন । "

দৈনিক বিজয় নিউজ/ মোঃ আবদুল্লাহ