মির্জাগঞ্জে লাগামহীন মাদক বেচাকিনা, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন

মির্জাগঞ্জে লাগামহীন মাদক বেচাকিনা, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন
ছবি: মোঃ আল মামুন

দৈনিক বিজয় নিউজ মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে মাদক বিক্রি ও মাদক সেবিদের আস্তানা। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। এসব মাদক সেবিদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন ওইসব এলাকার মানুষ।

প্রতক্ষদর্শিরা জানান, মির্জাগঞ্জের সুবিদখালীর বাজার হতে আশ্রাফ ব্রীক ফিল্ড রোড, সিকদার রোডে অবস্থিত মহিলা অধিদপ্তরের পরিত্যক্ত ভবন, লঞ্চঘাট এলাকার নদীর পারের রাস্তা (দত্তের চর) সুবিদখালী বাজার ব্রীজের দক্ষিণ পাড় দিয়ে পূর্বে নদী পাড়ে, উত্তর সুবিদখালী গুলশান সিটি সংলগ্ন গাজী বাড়ী রোড়, পুরানা বোর্ড অফিস ভবন, গোলখালী সুলিজঘাটা নদীর পাড়, ময়দা বাজার খাল পাড়,শ্রীনগর বাজার হতে কিশমত শ্রীনগর স্কুল রোড,চৈতা বাজারের উত্তর পাড়,রামপুরের পুরানা লঞ্চঘাট,২ নং মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন এর মির্জাগঞ্জ থানার পূর্ব পাশে নিগাহবান বাড়ি মসজিদের পাশে, পার এলাকা গোলদার বাড়ি মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠ পায়রাগঞ্জ, পিপরাখালী নদীর পার  সহ অনেক এলাকায় গড়ে উঠেছে মাদক বিক্রি ও মাদক সেবিদের জমজমাট আস্তানা। এসব আস্তানায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে মাদক সেবিদের আড্ডা। তারা ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে থাকে। ওইসব এলাকা দিয়ে চলাচল করা লোকজনদের ভয় ও আতংক নিয়ে চলতে হয়। মাদক সেবিদের দ্বারা ওইসব এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা স্কুল কলেজের ছাত্রীদের প্রায়দিনই বিভিন্ন ধরনের ইভটিজিং এর শিকার হতে হচ্ছে। ভয়ে তাদেরকে কেউ কিছু বলতে পারছে না। মাদক সেবিরা নেশার টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। এই মাদকের কারনেই ছোট খাট মারামারি ঘটেই যাচ্ছে যাহা রাজনৈতিক ইশু বলে চালিয়ে দেয়। মাদক সেবিদের  কারণে ঘরের বাহিরে কোন জিনিসপত্র রাখতে পারছে না। এমন কি টিউবওয়েল এর উপরের অংশ প্রায় ই চুরি হয়। প্রতিদিনই ঘটছে চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। পুলিশ প্রশাসনের ভুমিকা  এ ব্যাপারে আশানুরূপ নয়।মাদক সেবিদের অত্যাচার থেকে মুক্তির জন্য  প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা।

এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্য শামিম সাহেব কে জিজ্ঞাসা করলে সে বলেন মাদক বিক্রি ও মাদক সেবিদের দমনে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। এই সব মাদক সেবিদের তালিকায় কিছু কোটি পতিদের নাম ও পাওয়া যায়,যারা লেভাজধারী ইসলামী ভাবের। জনমনে প্রশ্ন বিগত ১৫ বছর পর্যন্ত যারা মাদকের ডিলার ছিল তাদের অধিকাংশ ই এখন ও এই ব্যাবসার সাথে জড়িত এবং তারা সাপোর্টিং নেতা পরিবর্তন করে অবাদে বিক্রি ও সেবন করে যাচ্ছে। সচেতন মহল জানান- এখনি ওইসব মাদক সেবিদের আস্তানা বন্ধ করতে না পারলে মির্জাগঞ্জের অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে । মাদকের কারণে নতুন করে কোনো যুবক যাতে আসক্ত না হয় সে দিকে কঠোর ভাবে নজর রাখতে হবে । এজন্য মাদক সেবিদের গোড়া এখনই উপরে দিতে হবে। তাই প্রশাসনের উচিৎ হবে যেখানে যেখানে মাদক সেবিদের আস্তানা গড়ে উঠেছে সেখানে সেখানে নিয়মিত পুলিশের টহল জোরদার করা এবং মাদক সেবিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা।

দৈনিক বিজয় নিউজ/ মোঃ আল মামুন